দেশে ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে এ দাম বাড়ানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে। একইসঙ্গে এখন থেকে প্রতি মাসে বিদ্যুতের খুচরা দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হবে। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। গণশুনানি শেষে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি ইউনিটপ্রতি এক টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে।
এদিকে বিদ্যুতের দাম প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বলে মন্তব্য করছেন ব্যবসায়ীরা। এবার দাম বৃদ্ধির পর নড়েচড়ে বসেছেন শিল্পদোক্তারা; উৎপাদন ব্যয় বাড়ার হিসাব কষার পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ ভোক্তাদের কতটা প্রভাবিত করবে সেই শঙ্কা ভাবাচ্ছে তাদের মত অনেককেই। যুদ্ধের কারণে দেখা দেয়া বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে চড়া পণ্যমূল্যের কারণে এমনিতেই ধুঁকছে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র। এরমধ্যে নতুন করে বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি জীবনযাত্রায় ব্যয়ের বোঝায় আরো চাপ তৈরি করবে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিতরণ কোম্পানির জন্য বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি। এরপর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করে ৫ প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানোর পর খুচরায় বিদ্যুতের দাম না বাড়ালে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল সরকার।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
Leave a Reply